গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট গোলাপগঞ্জে গুলিতে নিহত সানি আহমদের (২২) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের শীলঘাট গ্রামে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
সানি আহমদ শিলঘাট গ্রামে গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদের নেতৃত্বে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এসময় সানি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক ইফতেখার আহমদসহ সিআইডির টিম ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
মরদেহ উত্তোলন পরবর্তী নিহত সানি আহমদের পিতা কয়ছর আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, 'সঠিক ও ন্যায় বিচারের আশায় আমার ছেলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে৷ আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।'
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গফফার কুটি বলেন, 'সানিসহ উপজেলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের হত্যার সাথে যারা জড়িত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।'
মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ ও সানি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক ইফতেখার আহমেদ।
উল্লেখ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিলেটে প্রাণ হারানোদের মধ্যে সানির মরদেহ প্রথম কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। সানি আহমদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় দু'টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। দু'টি মামলারই বাদি সানির বাবা কয়ছর আহমদ। একটি মামলা দায়ের হয় ২৭ আগস্ট। অপরটি আদালতের নির্দেশে দায়ের হয় ১১ সেপ্টেম্বর।