আলোচিত সিলেট ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাবেক তিনবারের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে অপহরণ করে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত মিসবাহকে বড় অংকের মুক্তিপণের বিনিময়ে উদ্ধার করেছে তাঁর পরিবার।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নগরের সুবিদবাজার এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাকে সাগরদিঘীর পার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে বিষয়টি শুক্রবার দুপুর থেকে জানাজানি হয়।
জানা গেছে, মিসবাহ উদ্দিন বৃহস্পতিবার রাতে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তের দল তার অটোরিকশার গতিরোধ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে তাকে অন্য একটি অটোরিকশা তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অটোরিকশায় তোলার সময়ও তাকে মারধর করা হয়। পরে রাত তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা মিসবাহ সিরাজের মোবাইল ফোন থেকেই তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্ধ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে পরিবারের লোকজন টাকা হস্তান্তর করে ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে নগরের সাগরদিঘীরপাড় এলাকার শ্মশান সংলগ্ন সড়কের পাশ থেকে তাকে মুহূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাকে অপহরণের পর হাতে ও পায়ে কুপানো হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। পরে তাকে নগরের সোবহানীঘাটে আল হারামাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভোরে তার অস্ত্রপচার করা হয়। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স যুগে অজানা গন্তব্যে চলে যান মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। তার পরিবারের কারো সঙ্গে এরপর থেকে যোগাযোগ করা যায়নি। যেকারণে প্রকৃত ঘটনা কি ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে মিসবাহ সিরাজ যে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন সেটি নিশ্চিত করেছেন আল হারামাইন হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান অলিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে তিনি রাতে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চলে গেছেন।’
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের উপর হামলা হয়েছে। কে বা কারা হামলা করেছে সেটা জানা যায়নি। তিনি আল হারামইন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে শুনেছি। পরে তিনি একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে চলে গেছেন। তবে কোথায় গেছেন জানা নেই। পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।