সোমবার (১১নভেম্বর) সকালে উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের সরুখেল গ্রামের ইছাবা নদীর পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সাজিদ মিয়া উপজেলার ৩নং চারিকাঠা ইউনিয়নের নয়াখেল দক্ষিণ গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন চানাচুর বিক্রেতা ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, সোমবার সকালে ইছাবা নদীর পাড়ে ঘাস কাটতে যান কয়েকজন যুবক। তারা নদীর পাড়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় বৃদ্ধের মরদেহটি দেখেন। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন চলে আসেন। পরে পুলিশে খবর দেন। সজিদ মিয়া চতুল বাজারে সিএনজি স্টেশনে চানাচুর বিক্রি করতেন। গতকাল সন্ধ্যায় হরাতৈল জলছার বাজারে যান। তাদের ধারণা সজিদ মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে বেঁধে রাখা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো.রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) অলক শর্মা।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে এবং নিহতের মরদেহর অধিকতর তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সাজিদ আলী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তে কাজ করছে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ।