এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক আব্দুল হালিম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এসময় ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধীতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ২১ দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার মিরপুর-৬ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ককটেল বোমা নিক্ষেপ ও গুলিও চালায়।
এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নম্বর হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি। এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ব্যারিস্টার সুমন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সায়েদুল হক সুমন হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হব।
তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও তাকে দেওয়া হয়নি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে পরাজিত করেন।