নিহত যুবকের নাম আবুল হাসান (২৮)। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর এলাকার পূর্বভাগ কলাশহর গ্রামের মৃত ইলিয়াস আলীর ছেলে।
জানা গেছে, অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাদের অপহরণ করে নগরীর আম্বরখানা এলাকার একটি ভবনের ওপর আটকে মুক্তিপণ দাবি ও মারধর করে। পরে রাতেই নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান হাসান। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন।
নিহতের ছোট বোনের স্বামী মোস্তফা আকমল জানান, তার স্ত্রীকে দেখতে আবুল হাসান রাত ৮টার দিকে সিএনজি অটোরিকশায় গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সঙ্গে তার এক আত্মীয় ও এক যাত্রী ছিলেন। কদমতলী ওভারব্রিজ এলাকায় আরেক যাত্রী সিএনজিতে ওঠেন। এরপর তারা আর কিছু বলতে পারেননি। জ্ঞান ফিরলে তারা সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকার একটি ভবনের ছাদের ওপর নিজেদের দেখতে পান। এ সময় কয়েক যুবক তাদের মারধর করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের কাছ থেকে তারা মোবাইল ফোন ও ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
হাসানের সঙ্গে থাকা ওই আত্মীয় আহত অবস্থায় নিচে নেমে স্থানীয়দের ঘটনাটি জানান। পরে হাসানকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। রাত ১টার দিকে হাসান মারা যান। বুধবার (১৯ জুন) সকালে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দাফনের আগে আবার ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।
কোতোয়ালি থানার ওসি মঈন উদ্দিন সিপন জানান, পুলিশকে না জানিয়ে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দাফনের আগে আবার লাশটি সিলেট নিয়ে আসা হয়।