জৈন্তাপুর প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে গত সোমবার মধ্যরাত থেকে মেঘালয় পাহাড়ে অবিরাম ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ৯ টায় মেঘালয় পাহাড়ের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার সারী, বড়গাঙ ও রাংপানি নদীতে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ সময় ঢলের সাথে পলি মিশ্রিত কাদা রংয়ের পানি ও প্রচুর ফেনা ভেসে আসতে দেখা যায়।
মুহুর্তেই উপজেলার প্রধান নদীগুলোর বিপদসীমা অতিক্রম করে পাশ্ববর্তী হাওড় ও নিম্নাঞ্চলে ঢলের পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের বড়গাঙ ও কদমখাল, নয়াগাঙে পাহাড়ী ঢলের পানি ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, ঘিলাতৈল, টিপরাখোলা এলাকায় নিঁচু এলাকায় দ্রূত পানি প্রবেশ করছে।
তাছাড়া সারি নদীর পানি বৃদ্ধিতে এবং জাফলং পিয়াইন নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ২ নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ডুলটিরপাড়, চাতলারপাড়, বামনহাওড়, শেওলারটুক, নলজুরী, লক্ষিপুর, খারুবিল এলাকার নিম্নাঞ্চলে ঢলের পানি প্রবেশ করতে দেখা যায়।
তবে বর্তমানে হাওড় এলাকাতে কোন ধরণের ফসল না থাকায় তেমন ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে আগামী ২৪ ঘন্টায় অবিরাম ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস থাকায় সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মৌসুমের সেরা বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয় সিলেট বিভাগে ২৪২ মিলিমিটার।
এদিকে ভারী বর্ষণের সর্তকতা হিসেবে পাহাড় টিলা ধসে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপজেলা প্রশাসন জৈন্তাপুরের পক্ষ থেকে জনসচেতনতামুলক প্রচারণা চালানো হয়েছে। এ সময় উপজেলার টিলা, পাহাড়ী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত এলাকাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে প্রচারণা চালানো সহ সার্বিক মনিটরিং করছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিগণ।