আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ও রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বেতাহুঞ্জা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বেতাহুঞ্জা গ্রামের আজমত মিয়ার ছেলে কয়েছ মিয়ার বিয়ে ছিল শুক্রবার। বিয়েল আগের রাতে বরের বাড়িতে ‘ধামাইল’ দেয়ার জন্য এলাকার বিভিন্ন ছেলেরা জড়ো হয়।
এসময় ওই এলাকার চেরাগ মিয়া, এরাগ মিয়া এবং লালা মিয়ার সন্তানদের সঙ্গে ইসকার মিয়া ও মিসকার মিয়ার ছেলেদের কথাকটাকাটি হয়। বিষয়টি ওই সময়ই স্থানীয়রা সমাধান করে দেন।
পরদিন শুক্রবার জুমার নামাজে যাওয়ার সময় ওই ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। জুমার নামাজের সময় উভয় পক্ষ দুই ঘন্টা ব্যাপী দেশিয় অস্ত্র ও একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন হৃদয় মিয়া (১৮), নাসেল মিয়া (৪৫), মিলু (১৮), আশ্বব মিয়া (৬০), মিছকার (৫৫), সুন্দর মিয়া (৬৫), সেলিম (৩৫) , আবু কালাম (২৪), আকবর (২২), আমিন মিয়া (১৮), বাক্কর মিয়া (৫২), আয়াতুন বেগম (৫৫), হোসেনা বেগম (৩৫), লায়লুছ মিয়া (১৮), মাহিম (২৮), ফরিছ মিয়া (৩৫), জুবেল মিয়া (১৮), শাকিল মিয়া (২১), শানাই মিয়া (৪৫) আয়াছ (২৮), আহাদ মিয়া (৬৫), আব্দুস সালাম (১৮), মিজানুর রহমান (৪০), পাবলু মিয়া (১৮), ইদাই মিয়া (৪৫), শামিম (৩২), এবাদুর রহমান (২৭), ইসকার মিয়া (৬৫), আজাদ মিয়া (৬৫), ইদুকার মিয়া (৬২), হাবিবুর রহমান (১৮) মতি মিয়া (৩৬), আব্দুল হাকিম (২০), সেকাদ আলী (৩০), পাপ্পু (২৩), আছকির আলী (৪৪) রমজান আলী (২১), মাহমুদুল আহমদ (১৮), নাজমুল (১৪), মুক্তার মিয়া (৭০), নাসাই মিয়া (৫০), মিলু আহমদ (১৮) প্রমুখ।
গুরুতর আহত হৃদয় মিয়া, নাসেল মিয়া, মিলু ও আশ্বব মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদেরকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ও রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করা হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে রাজনগর থানার একদল পুলিশ ঘটাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়। ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ইউপি সদস্য সুহেল আহমদ বলেন, বিয়ে বাড়িতে সিলেটি ধামাইল দেয়ার সময় অপর দুই পক্ষের ছেলেরা কথাকাটাকাটি করে। বিষয়টি শেষ হয়ে যায় ওই সময়। পরে (আজ) শুক্রবার জুমার নামাজে যাওয়ার সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষেই হতাহত হয়েছেন।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, উভয় পক্ষ নামাজে যাওয়ার সময় সংঘর্ষ করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সবাই চিকিৎসা নিচ্ছে। থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।