কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেট মহানগরীর আম্বরখানা (বড় বাজার) এলাকার তুরাব আলীর বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী মেয়ে ফাহিমা আক্তার (১৮)। গত শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নিজ বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরেনি।
শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম নজরুলের সহযোগিতায় তোয়াকুল অটোরিকশা সিএনজি স্ট্যান্ডে থেকে ফাহিমা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সিলেট মহানগরীর আম্বরখানা (বড় বাজার) এলাকার তুরাব আলীর বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী মেয়ে ফাহিমা আক্তার (১৮) নিজ বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরেনি। মেয়ের বাবা তুরাব আলীসহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা সম্ভাব্য নিকট আত্মীয়দের বাসাবাড়ি কোথাও ফাহিমাকে খোঁজে পাননি। অপর দিকে বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী ফাহিমা হারিয়ে চলে আসে গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের অটোরিকশা (সিএনজি) স্ট্যান্ডে।
রোববার দুপুরের দিকে তোয়াকুল অটোরিকশা সিএনজি স্ট্যান্ডে ফাহিমা আক্তারের গতিবিধি লক্ষ্য করে স্থানীয় মামুন রশীদ নামের এক যুবকসহ বেশ কয়েকজন লোক এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম নজরুলকে মোবাইল ফোনে অবগত করেন।
এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন ওসি কে এম নজরুল। তিনি তোয়াকুল সিএনজি স্ট্যান্ডে উপস্থিত হয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে অবহিত করেন। পাশাপাশি ফাহিমার অভিভাবকদের সন্ধানের জন্য আইনি পদক্ষেপ গ্রহন ছাড়াও কে এম নজরুলের ব্যক্তিগত আইডি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘন্টা খানেক সময়ের মধ্যে ফাহিমার পিতা তুরাব আলী গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম নজরুলেকে মোবাইল ফোনে জানান মেয়েটি তাঁর। মেয়েটি সঠিক পরিচয় পত্রসহ প্রয়োজনী প্রমানাদি নিয়ে গোয়াইনঘাট থানায় তুরাব আলীকে আসার আহবান জানান ওসি কে এম নজরুল। তুরাব আলী মেয়ের বিষয়ে এ দিন প্রয়োজনীয় প্রমানাদি নিয়ে গোয়াইনঘাট থানায় উপস্থিত হলে ফাহিমাকে তাহার বাবার নিকট বুঝাইয়া দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম নজরুল বলেন, তোয়াকুল স্ট্যান্ডে একজন কিশোরীর গতিবিধি নিয়ে বেশ কয়েকজন লোক আমাকে অবগত করেন। ১৮ বছর বয়সী একজন কিশোরীর বিষয়টি জেনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। পাশাপাশি মেয়েটির পরিবারের সন্ধান দ্রুত পেতে আমার ফেইসবুক ওয়ালে পোস্ট করি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘন্টা খানেক সময়ের মধ্যে মেয়ের বাবা আমার সাথে যোগাযোগ করেন। পরে প্রয়োজনীয় পরিচয় পত্র দেখে মেয়েটিকে শনিবার (১৫ জুলাই) তার পিতার হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।