মামলার বাদী, গোলাপগঞ্জের কিসমত মাইজভাগ দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রব জুনু মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান মাসুদ (৩৯)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তিনি সিলেটের সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলি আদালত গোলাপগঞ্জে মামলাটি দায়ের করেন (নং সিআর ১৭৩/২৩)।
মামলার এজাহার ও ভাইরাল হওয়া ভিডিও’র সুবাদে জানা গেছে, কামরুজ্জামান মাসুদ একজন ব্যবসায়ী। তিনি রোববার ( ১৬ জুলাই) ফুলবাড়ি ইউনিয়নে গিয়েছিলেন ট্রেডলাইসেন্স নবায়ন করতে। সেখানে সচিব নজরুল ইসলাম ও কম্পিউটার অপারেটর সাইফুল ইসলাম চৌধুরী তার কাছে সরকার নির্ধরিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত ফি দাবি করেন। ৪শ’ টাকার বদলে তারা ৬৫০ টাকা না দিলে তারা লাইসেন্স নবায়ন করবেন না জানালে প্রতিবাদ করেন মাসুদ। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও মামলার ১নং আসামি আব্দুল হানিফ খাঁন ইউনিয়ন কার্যালয়ে উপস্থিত হন এবং মাসুদকে চড় থাপ্পড় ও ঘুষি মারতে মারতে গেইটের বাইরে নিয়ে যান। সেখান থেকে আবার তার অফিসে নিয়ে দরজা বন্ধ করে তিনজন মিলে তাকে অবর্ননীয় শারীরিক নির্যাতন করেন।
মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তার মাসুদের স্বজনরা ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে তাকে মুমুর্ষ অবস্থাায় উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে মাসুদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়ছল আহমদ জানান, আদালত শুনানি শেষে এবং মারধরের ভিডিও দেখে অভিযোগকে সরাসরি এফআইআর হিসাবে গণ্য করে মামলাটি তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আজকালের মধ্যে থানায় আদালতের নির্দেশনা পৌঁছানোর পর থানা পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করবে বলে আমরা আশাবাদী।
এদিকে ব্যবসায়ীকে মাসুদকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর কঠোর সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ তাকে নির্মম বলে অভিহিত করছেন।